top of page

টাকা উপার্জনের জন্য পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছে সাবেক SUSVC শিক্ষার্থী


সিরাজউদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ও টঙ্গী বাজারের ভড়ান এলাকার বাসিন্দা আয়েশা আক্তার (নিলা) পরকিয়ার জেরে সম্পর্ক গড়ছেন বিভিন্ন জনের সাথে হাতিয়ে নিচ্ছেন অর্থকড়ি। তিনি ২০১৩ সালে ভালবাসার অভিনয় করে দিনাজপুরের জাহাঙ্গীরের ছেলে ব্যবসায়ী রওশনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।নিলার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় তার বাবার নাম আক্তার হোসেন মায়ের নাম শিল্পী আক্তার। অভাব অনটন ঘুচাতে টঙ্গী বাজারে ভাংগাড়ির দোকান দেয় নিলার বাবা। সেখানে সে চোরাই মালামাল ক্রয় বিক্রয় করতো। এই চোরাই মাল ক্রয় বিক্রি করে রাতারাতি বিপুল ধন সম্পদের মালিক হন আক্তার হোসেন। প্রথমে টঙ্গী মিরাশ পাড়া বাড়ি করলে ও ২০০৯ সালে নিলার কুকর্মের কারনে এলাকাবাসির চাপের মুখে মিরাশ পাড়ার বাড়ি বিক্রি করে টঙ্গী বাজার এলাকায় বাড়ি করেন।নিলা কথিত ভালবাসার নাম করে বিয়ে করলেও তার(নিলার)মূল উদ্যেশ্য ছিল ভিন্ন। নীলার স্বামী রওশন নিলার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগেও তার একটি বিয়ে হয়েছিল। সেটা নিলা জেনে ও অর্থ বিত্তের লােভে তার আগের প্রেমিকের সাথে সম্পর্ক বাদ দিয়ে রওশনকে বিয়ে করে। রওশনের সাথে বিয়ের আগে ও নিলার একাধিক সম্পর্ক ছিল।রওশনের সাথে বিয়ের পরও সে তার আগের বয়ঃফ্রেন্ড সজিবের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলতো। বিয়ের ১-১.৫ বছরে সে তার আগের বয়ঃফ্রেন্ড সজিবের যোগসাজশে সে তার স্বামীর উত্তরার ব্যবসাটা ঘায়েল করে। তারপর সে একরকম জোর করে তার স্বামীকে বিদেশ পাঠায় তখন থেকে তার স্বামীকে সে টাকা পয়সার জন্য নিয়মিত চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তার স্বামী টাকা পয়সা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে সে আত্নহত্যার হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে নিলার শুশুর বাড়ির লোকজনের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন যে রওশনকে ভালবাসার অভিনয় করে বিবাহ করে তাকে এখন নিঃস্ব করে ফেলেছে।আমরা এর উপযুক্ত শাস্তি চাই। খোজ নিয়ে জানা যায় সজিবের সাথে নিলার সম্পর্কের আগেও সে দশম শ্রেনীতে পড়ার সময় অজ্ঞাত এক ছেলের হাত ধরে বাড়ি ছাড়লেও তিন দিন পর আবার বাড়ি ফিরে আসেন। এখন স্বামীর সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ নেই। এ ব্যাপারে নিলার সাথে যোগাযোগ করা হলে সে বলে তার স্বামী দুই বছর ধরে নিখোজ।তার স্বামী সাইপ্রাস গিয়েছিল দেড় দুই বছর আগে সে নাকি অবৈধ পথে (সাগর পথে)সাইপ্রাস থেকে গ্রিস যাওয়ার জন্য রওয়ানা দিয়ে ছিল তারপর থেকে সে নিরোদ্দেশ হয়ে গেছে।এখন সে তার স্বামীর জন্য পাগলপ্রায়। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে তার মধ্যে স্বামী হারানোর কোন অনুভুতিই নেই । সে এখন তার আগের বয়ঃফ্রেন্ড সজিবের সাথে বাইকে করে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।উত্তরার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে এখন নিয়মিত মদ নেশায় মত্ত থাকে। এ ব্যাপারে রওসনের বাবা বলেন,নিলার আগের বয়ঃফ্রেন্ডের কথা আমরা বিয়ের দিন সজিবের মুখ থেকেই শুনেছিলাম তখন বিষয়টা আমরা তার পরিবার জানাইলে তারা এই বিষয়টা কে উড়িয়ে দেয় এবং এরকম কিছু হয়ে থাকলে তারা বিষয়টা দেখবে বলে আমাদের আশ্বস্থ করে করেছিল। রওশনের বাবা আরো বলেন যে নিলার বাবা মা সহ তার পরিবারের লোকেরা ধর্মের লেবাস ধরে মানুষের সাথে সহজেই প্রতারনা করে। রওশন বিদেশ কি পাঁচটি ভিসা পাঠায় এবং এই প্রত্যেকটি ভিসা দিয়ে নিলার মা তার এলাকার লোকের নিকট বিক্রি করে সব টাকা আত্নসাৎ করে। রওশনের বাবা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন যে নিলা আমাদের বাড়িতে থাকাকালীন সে সজিব নামের এক ছেলের সাথে মোবাইলে কথা বলতো। আমি ওরে জিজ্ঞেস করলে ও বলতো ওর চাচাতো ভাই। আমি দুইদিন ওর মোবাইল নিয়ে দেখতে পাই ও যে ছেলের সাথে কথা বলে সেই ছেলে আসলে তার চাচাত ভাই নয়। সেই ছেলে হচ্ছে তার আগের বয়ঃফ্রেন্ড সজিব। নিলা ওয়্যারড্রফ থেকে রওশনের একটা শার্ট নিবে বলে আমার নিকট থেকে চাবি নিয়ে সে গোপনে আমাদের ওয়্যারড্রফের সব কিছু চুরি করে নিয়ে গেছে।এখন নিলার পরিবার আমাদেরকে নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছে যে আমরা যদি আমাদের ছেলের নিখোজের বিষয়টা নিয়ে কোন ধরনের আইনের আশ্রয় নেয় তাহলে তারা নিলার বয়ঃফ্রেন্ড/ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদেরকে মেরে ফেলবে ।এখন আমাদের জীবন হুমকির মুখে।এ ব্যাপারে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।


Categories

Also Featured In

© 2023 by "This Just In".

bottom of page