টাইগার মাশরাফি বিন মুর্তজা
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা আবিষ্কার মাশরাফি বিন মর্তুজা। দেশের ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্বে দিয়ে আসছেন তিনি। তিন ফরমেটের ক্রিকেটেই নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে দেশের মানুষের কাছে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অনন্য এক ব্যাক্তি হিসেবে। মাশরাফির সময়ই ক্রিকেটে অন্যান্য সময়ের চেয়ে সাফল্য এসেছে তুলনামূলকভাবে বেশি।
সম্প্রতি টাইগারদের সীমিত ওভারের এই দলপতির অবসর নিয়ে নানারকমের কথাবার্তা আর গুঞ্জন সত্যি হলো। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস করতে নেমে অবসরের ঘোষণা দিলেন মাশরাফি নিজেই। এটাই ম্যাশের শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ক্যারিয়ার টাইমস পাঠকদের জন্য সফল অধিনায়ক মাশরাফির বিন মুর্তজার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরা হলো।
জন্ম
অক্টোবর ৫, ১৯৮৩; নড়াইল জেলা
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম বোলিং স্তম্ভ ও একদিনের আন্তর্জাতিকে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। তার ডাক নাম ‘কৌশিক’। তিনি একজন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার বোলিংয়ের ধরন ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার। বাংলাদেশ জাতীয় দল ছাড়াও তিনি এশিয়া একাদশের একদিনের আন্তর্জাতিক দলে খেলেছেন।
টেস্ট
অভিষেক:
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ২০০১
একদিনের আন্তর্জাতিক অভিষেক :
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, এমএ আজিজ স্টেডিয়াম, ২০০১
সেরা সাফল্য
২০০৬ সালে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিরুদ্ধে মাশরাফি ২৬ রানে ৬ উইকেট নেন, যা তার সেরা সাফল্য।
২০০৯ সালের শুরুতে মাশরাফি অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের সহকারী ছিলেন। পরবর্তীতে ওই বছরেরই জুন মাসে তিনি মোহাম্মদ আশরাফুলের স্থলাভিষিক্ত হন এবং তার সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পান সাকিব আল হাসান। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে নিজের প্রথম ম্যাচেই তিনি হাঁটুতে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ঐ খেলায় বাংলাদেশ জয়লাভ করে কিন্তু মাশরাফি এই চোটের কারণে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাঠের বাইরে ছিলেন। উক্ত ম্যাচসহ পরবর্তীকালে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করেন সাকিব আল হাসান। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের সাথে হোম সিরিজে তিনি পুনরায় অধিনায়কত্ব পান। তবে এ বার তিনি শুধু একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য দায়িত্ব পান এবং এবারও তার সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পান সাকিব আল হাসান। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপেও তিনি বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অন্যান্য
একদিন মাশরাফি বলেছিলেন ” জীবনে যে টাকা আমি আয় করেছি সে টাকা দিয়ে আমার ছেলেমেয়েরাও পর্যন্ত বসে খেতে পারবে, আমি দেশের জন্য ক্রিকেট খেলি, আমি আরো অনেক দিন ক্রিকেট খেলতে চাই দেশের স্বার্থে “
সৌরভ গাঙ্গুলী বলেছিলেন “ইশ! আমাদের যদি একটি মাশরাফি থাকতো।